Welcome to the World of cycling!

সোমবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২১

নিরাপদে সাইক্লিং করার জন্য গরম আবহাওয়ায় কিছু করনীয়

 গ্রীষ্মের গরমে আবহাওয়ার তারতম্যের কারনে সাইক্লিং করা কষ্টসাধ্য একটা ব্যাপার। কিছু বিষয় মেনে চললে স্বাস্থ্য সমস্যা সহ অন্যান্য সমস্যাগুলো হতে আমরা কিছুটা হলেও মুক্ত হতে পারি।

 

• হাইড্রেশনঃ

গরমে সাইকেল চালানোর পরিশ্রমের ফলে শরীর থেকে প্রচুর ঘাম নির্গত হয়, সে সঙ্গে লবণ বের হয়ে আসে । ফলে শরীর পানিশূন্য হয়ে পরে। তাই গরমে সাইকেল চালালে অবশ্যই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পানি পান করতে হবে।

আপনার রাইডের দূরত্বের উপর আপনি কতটুকু পানি পান করবেন তা নির্ভর করবে। স্বাভাবিকভাবে রাইডের সময় ঘণ্টায় .৫ থেকে ১ লিটার পানি ১০ মিনিট বা কিছু সময় অন্তর অন্তর অল্প পরিমানে চুমুক দিয়ে পান করলে ভালো হয়। সবসময় তেষ্টা পাওয়ার আগেই পানি পান করবেন। শুধু রাইডের সময় নয়, রাইড শুরুর আগে ও পরে যথেষ্ট পরিমান পানি পান করার ব্যাপারেও নজর রাখতে হবে।

স্বল্প দূরত্বের রাইডে শুধু পানিই যথেষ্ট হলেও দীর্ঘ রাইডের ক্ষেত্রে স্যালাইন, স্পোর্টস ড্রিঙ্কস (Gatorade mix), গ্লুকোজ বা ডাবের পানি পানিশুন্যতা রোধে দ্রুত কাজ করবে।

দীর্ঘ ভ্রমণের ক্ষেত্রে অধিক পরিমাণে পানি বহন ও পান করার সুবিধার জন্যে হাইড্রেশন প্যাক (Hydration Pack) বহন করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

প্রচলিত সফট ড্রিঙ্কস বা এনার্জি ড্রিঙ্কস যেমন  Coke, Pepsi, Speed, ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপে পরিহার করবেন।

কোথায় পাবেনঃ- হাইড্রেশন প্যাক বিভিন্ন সাইকেলের দোকানে ১৬০০ টাকার থেকে শুরু করে ৩০০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। স্যালাইন, গ্লুকোজ সাধারণ দোকানে পাওয়া যায়। Gatorade Mix মিনা বাজার, আগোরা সহ বিভিন্ন সুপার শপে পাওয়া যায়।

 

• হাল্কা পোশাকঃ

গ্রীষ্মে সাইক্লিং এর সময় হালকা ধরনের কাপড় পড়বেন যা দ্রুত শুকিয়ে যায় ও ভিতরে সহজে বাতাস ঢুকতে পারে। এক্ষেত্রে পলিস্টার কাপড়ের ফুল স্লিভ গেঞ্জি অথবা হাফ স্লিভ গেঞ্জির সাথে পলিস্টার স্লিভ / Hand Cover পড়তে পারেন। সুতি কাপড়ের গেঞ্জি না পড়াই ভালো। কারন সুতি কাপড় ঘাম শোষণ করে শরীরের সাথে লেপ্টে থেকে আপনাকে অস্বস্থিকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে। এছাড়াও কাপড়ের রঙ হালকা হওয়া বাঞ্ছনীয়। শার্ট পড়া থাকলে অবশ্যই বোতাম খোলা রেখে  বাতাস চলাচলের উপযোগী করে নিবেন।

ভারি ফুল প্যান্টের বদলে ঢিলেঢালা হাফ বা থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট গরম থেকে বাঁচতে আপনাকে সাহায্য করবে।

গরমে পায়ে পাতলা মোজার সাথে পিছনে ফিতাযুক্ত স্যান্ডেল (স্লিপার) বা পাতলা কেডস পরতে পারেন।

কোথায় পাবেনঃ পলিস্টারের গেঞ্জি নিউ মার্কেট বা বঙ্গবাজারে ১৫০ – ২০০ টাকার মধ্যে পাবেন। পলিস্টার স্লিভ / Hand Cover বংশালসহ বিভিন্ন সাইকেল ও স্পোর্টসের দোকানে পেতে পারেন।

 

 • খাবারঃ

গরমে খাবারের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করবেন। রাইড শুরুর আগে হালকা খাবার দাবার (নুডলস, ফল, ইত্যাদি) খেয়ে নিবেন। বাইরের খোলা খাবার যতটা সম্ভব এরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। এমনকি বাইরের দোকানের পানির ক্ষেত্রেও সাবধান হবেন।  গ্রীষ্মের যে সকল মৌসুমি ফল পাওয়া যায় যেমনঃ তরমুজ, বাঙ্গি, ইত্যাদি খেতে পারেন।

 

• সানস্ক্রিনঃ

সানবার্ন থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিনের বিকল্প নেই। গরমে যেহেতু শরীর বেশি ঘামে শরীরের খোলা স্থান গুলোতে পানি নিরোধক সানস্ক্রিন ব্যাবহার করতে পারেন। রাইডের সময় ছোট বোতলে করে সঙ্গে বহন করতে পারেন।

 

• ধীরে চালনাঃ

গরমে সাইকেল যথাসম্ভব ধীরে চালাবেন এবং উদ্দমস্তর কমিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে যেখানে বাতাস কম, সেখানে গিয়ার কমিয়ে ধীরে চালালে ঘাম অপেক্ষাকৃত কম হবে।

 

• সাইক্লিং গ্লাসঃ

গরমের দিন গুলোতে সাইক্লিং গ্লাস রোদ ও ধুলাবালি থেকে আপনার চোখকে রক্ষা করবে।

 

• দিনের সবচেয়ে গরম সময়টি পরিহার করুনঃ

গ্রীষ্মে দুপুরের দিকে সূর্য যখন মাথার উপরে থাকে তখন তাপমাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়। এই সময়টিতে যতটুকু পারা যায়, সাইক্লিং না করাটাই ভালো হবে। এই সময়ে ভোর থেকে শুরু করে দুপুরের মধ্যে বা দুপুরের পরের সময়ে সাইক্লিং করুন।

 

• সম্ভব হলে পিঠের ব্যাগ বহন করবেন নাঃ

গরমে সম্ভব হলে পিঠের ব্যাগ বহন না করে জিনিসপত্র ফ্রেম ব্যাগ বা রিয়ার প্যানিয়ারে বহন করবেন। এতে আপনার পিঠ ও কাঁধ অতিরিক্ত ঘাম হতে বাঁচবে।

 

• পানির ঝাঁপটা দিন ও ঘাম মুছে ফেলুনঃ

রাইডের মাঝে মাথায় ও মুখে ঠাণ্ডা পানির ঝাঁপটা আপনাকে আরাম দিবে। এছাড়া বিশ্রামের সময় ভিজা অথবা শুকনো রুমাল বা তোয়ালে দিয়ে ঘাম যতটুকু সম্ভব মুছে ফেলবেন।

 

• ঠাণ্ডা  স্থানে বাইক থামাবেনঃ

রাইডের মাঝে সাইকেল থামালে ছায়া ঘেরা জায়গায় থামাবেন যেখানে বাতাস আছে। রাইড শেষ হলে ফ্যানের বাতাসে শরীর শুকিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন।

গোসল করতে চাইলে একটু জিরিয়ে নেয়ার পর গোসল করলে ভাল হয়।

Join #Family_Cyclist



Recent Posts