Welcome to the World of cycling!

বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২

ঢাকা শহরের বিখ্যাত খাবার এবং দর্শনীয় স্থান

ঢাকা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রান কেন্দ্র, বাংলাদেশের রাজধানী এবং বৃহত্তর শহর।


কাগজে কলমে লিখা না থাকলেও ঢাকা শহরকে ২ভাগে ভাগ করা হয়েছে নতুন ঢাকা এবং পুরাতন ঢাকা। ঢাকা শহরের উত্তর পাশকে নতুন ঢাকা এবং দক্ষিণ পাশকে পুরাতন ঢাকা।

এই ঢাকা শহরেই রয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্বলিত সকল খাবার এবং দর্শনীয় স্থান।

আমার এই কানেক্ট পোস্টে ঢাকা শহরের বিখ্যাত খাবার এবং দর্শনীয় স্থান সর্ম্পকে তুলে ধরার চেষ্টা করব।


ঢাকা শহরের বিখ্যাত খাবারঃ-


**বিরিয়ানি**


বিরিয়ানি ছিল মোঘল আমলের রাজাদের খাবার। এখন সব

ধরনের মানুষের প্রিয় খাবার।

বিরিয়ানি কয়েক ধরনের পাওয়া যায়। বিফ বিরিয়ানি, চিকেন বিরিয়ানি, কাচ্চি এবং তেহারি।

ঢাকা শহলের প্রায় সব মহল্লায় বিরিয়ানি পাওয়া যায়। তবে পুরান ঢাকার বিরিয়ানি বেশি বিখ্যাত।

Screenshot_20221128-181458-01.jpeg
হাজি বিরিয়ানি নাজিরা বাজার পুরাতন ঢাকা


বিরিয়ানির জন্য বিখ্যাতঃ দোকানের নাম উল্লেখ করলাম-

১.হাজি বিরিয়ানি (নাজিরা বাজার)

২.হানিফ বিরিয়ানি (নাজিরা বাজার)

৩.মাখন বিরিয়ানি (রায় সাহেব বাজার)

৪.বোবার বিরিয়ানি ( মোহাম্মাদপুর)

৫.মারুফের বিরিয়ানি (হাজারিবাগ)

Screenshot_20221128-181837-01.jpeg
কাচ্চি বিরিয়ানি

 

কাচ্চি বিরিয়ানির জন্য বিখ্যাতঃ কয়েকটি দোকানের নাম -


১.সুলতান ডাইন (ঢাকায় অনেক গুলো ব্রাঞ্চ রয়েছে)

২.কাচ্চি ভাই (ঢাকায় অনেক গুলা ব্রাঞ্চ রয়েছে)

৩.গ্রান্ড নবাব (নাজিরা বাজার)

৪.কলকাতা কাচ্চি (সাত রওজা পুরান ঢাকা)

৫.কাশ্মির কাচ্চি ( ইসলামপুর)

FB_IMG_1669643583760.jpg
বাকরখানি


**বাকরখানি**

বাকরখানি ময়দা দিয়ে তৈরি রুটি জাতীয় খাবার বিশেষ। এটি বাংলাদেশের পুরান ঢাকাবাসীদের সকালের নাস্তা হিসাবে একটি অতি প্রিয় খাবার। ময়দার খামির থেকে কয়লার আগুনের তাপে বাকরখানি তৈরি করা হয়। বাকরখানি

দুই ধরনের হয়ে থাকে মিষ্টি এবং নোনতা।

পুরান ঢাকায় এটা বেশি পাওয়া যায়।

Screenshot_20221128-201854-01.jpeg
চিকেন কাবাব

**কাবাব**


ঢাকার শহর কাবাবের জন্য বিখ্যাত। ঢাকায় নানান ধরনের কাবার পাওয়া যায়। পুরান এবং নতুন ঢাকায় সব জায়গায়ই কাবাব পাওয়া যায়। নিচে ঢাকার কয়েকটি বিখ্যাত

কাবাবের দোকানের নাম দিলাম।

১.বিসমিল্লাহ কাবাব (নাজিরা বাজার)

২.মুস্তাকিমের চাপ (মোহাম্মাদপুর)

৩.চাপঘর ( উত্তরা,গুলশান & ধানমন্ডিতে ব্রাঞ্চ আছে)

৪.বুখারী রেস্তোরাঁ (নাজিরা বাজার)

৫.তুর্কি কাবাব (ওয়ারি)


এছাড়া পানিয় এবং মিষ্টি জাতিয় খাবারের জন্য ঢাকা শহর বিখ্যাত। ঢাকায় অনেক বিখ্যাত পানিয় এবং মিষ্টি জাতিয় খাবার পাওয়া যায়।


১.লাচ্চি (বিউটি লাচ্চি পুরান ঢাকা)

২.ফালুদা (স্টার হোটেল)

৩.বোরহানি

৪.রয়েলের পেস্তার শরবত

৫.পুরাতন ঢাকার মিষ্টি.


ঢাকা শহরের বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানঃ-


FB_IMG_1669648555111.jpg
 লালবাগ কেল্লা 

  **লালবাগ কেল্লা**


১৬৭৮ সালে মুঘল রাজপুত্র আজম শাহ বাংলার সুবাদার লালবাগ কেল্লার   নির্মাণকাজ শুরু করেন।

তিনি বাংলায় ১৫ মাস ছিলেন। দুর্গের নির্মাণকাজ শেষ হবার আগেই সে দিল্লি  ফিরে যান তার বাবার ডাকে. এসময় একটি মসজিদ ও দরবার হল নির্মাণের পর দুর্গ নির্মাণের কাজ থেমে যায়।

সুবাদার শায়েস্তা খাঁ ১৬৮০ সালে পুনরায় বাংলার সুবাদার হিসেবে ঢাকায় এসে দুর্গের নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু করেন।

১৬৮৪ সালে এখানে শায়েস্তা খাঁর কন্যা ইরান দুখত রাহমাত বানুর (পরী বিবি) মৃত্যু ঘটে। কন্যার মৃত্যুর পর শায়েস্তা খাঁ এ দুর্গটিকে অপয়া মনে করেন এবং ১৬৮৪ খ্রিষ্টাব্দে অসমাপ্ত অবস্থায় এর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন।

লালবাগের কেল্লার  প্রধান তিনটি স্থাপনার একটি হলঃ


১.পরী বিবির সমাধি।


শায়েস্তা খাঁ ঢাকা ত্যাগ করার পর এটি এর জনপ্রিয়তা হারায়। ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে রাজধানী স্থানান্তর করা হয়েছিল; এটিই ছিল প্রধান কারণ। রাজকীয় মুঘল আমল সমাপ্ত হওয়ার পর দুর্গটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়ে যায়। ১৮৪৪ সালে এলাকাটি "আওরঙ্গবাদ" নাম বদলে "লালবাগ" নাম পায় এবং দুর্গটি পরিণত হয় লালবাগ দুর্গে..


প্রবেশ টিকিট মুল্যঃ- জনসাধারণের জন্য এর প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা এবং সার্কভুক্ত দেশের পর্যটকদের জন্য ১০০ টাকা বিদেশীদের জন্য ২০০ টাকা টিকিট মূল্য ধার্য করা হয়েছে , এর সাপ্তাহিক বন্ধ রবিবার।


 

FB_IMG_1669650269963.jpg
আ্হসান মঞ্জিল 


*আহসান মঞ্জিল**


আহসান মঞ্জিল পুরান ঢাকার ইসলামপুরের কুমারটুলী এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি পূর্বে ছিল ঢাকার নবাবদের আবাসিক প্রাসাদ ও জমিদারীর সদর কাচারি। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর প্রতিষ্ঠাতা নওয়াব আবদুল গনি।তিনি তার পুত্র খাজা আহসানুল্লাহ-র নামানুসারে এর নামকরণ করেন।১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে আহসান মঞ্জিলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দে সমাপ্ত হয়। ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে এখানে এক অনুষ্ঠিত বৈঠকে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়। আহসান মঞ্জিল কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। সর্বশেষ সংস্কার করা হয়েছে অতি সম্প্রতি। এখন এটি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃক পরিচালিত একটি জাদুঘর।


সর্বসাধারণের জন্য প্রবেশ মূল্য 40 টাকা।


এছাড়াও ঢাকা শহরে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে, স্থানগুলো হলোঃ-


১.বাহাদুর শাহ পার্ক

২.বলধা গার্ডেন

৩.বোটানিক্যাল গার্ডেন

৪.রমনা পার্ক

৫.ধানমন্ডি লেক

৬.কার্জন হল

৭.রোজ গার্ডেন

৮.তারা মসজিদ

৯.সাতগম্বুজ মসজিদ

১০.ঢাকেশ্বরী মন্দির

১১.শহীদ মিনার

১২.বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ

১৩.জাতিয় জাদুঘর

১৪.জাতীয় সংসদ ভবন

১৫.ভাসানি নভোথিয়েটার

১৬.বিজ্ঞান জাদুঘর

১৭.মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর

Recent Posts